বিশ্বনাথের দ্বীপবন্ধ- গোবিন্দনগর সড়ক নদী গর্ভে


admin প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৫, ২০২৪, ১:৪২ অপরাহ্ন /
বিশ্বনাথের দ্বীপবন্ধ- গোবিন্দনগর সড়ক নদী গর্ভে

মো. সায়েস্তা মিয়া, বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ

বিশ্বনাথ উপজেলার ২ নং খাজাঞ্চি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মাকুন্দা ( খাজাঞ্চি) নদী তীরবর্তী গ্রাম দ্বীপবন্ধ গোবিন্দনগর,( ডরেরপার) সড়ক অংশ নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ভয়াবহ ভাঙ্গনের চিত্র। ভাঙ্গনের ফলে কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচলে পোহাচ্ছেন সীমাহীন কষ্ট। যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে করছেন যাতায়াত। এলাকার ৫টি গ্রামের পাশ ঘেষে বহমান মাকুন্দা নদী পারের রাস্তাটি ভাঙ্গনের ফলে কয়েকটি গ্রামবাসীর যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে। বিকল্প কোন রাস্তা নেই। এ থেকে উত্তরণের পথ জানা নেই কারো। দীর্ঘ দিন ধরে এই স্থানে ভাঙ্গন থাকলেও এতোদিন পায়ে চলাচলের উপযুক্ত ছিল। কিন্তু গেল ১০ থেকে ১২ দিন ধরে ধীরে ধীরে অবশিষ্টাংশ রাস্তা ধেবে গেছে নদীতে। এনিয়ে এলাকাবাসী ও স্থানীয় গ্রামবাসী এখন হতাশ।

বিগত দিনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের পক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় গ্রামবাসীর সহযোগিতায় একাধিকবার এই স্থানে নদী ভাঙ্গন রোধে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও কার্যত কোন ফল আসেনি। বড়সড় কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন ছাড়া এই দুর্ভোগ লাঘব করার ও কোন উপায় নেই এমনটি স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী। বর্তমানে মানুষের চলাচল ও জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করা সমাধান হবে বলে এলাকাবাসী জানান। এলাকাবাসীর অনেকেই অভিযোগ করে বলেন এপর্যন্ত যতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেগুলোর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সঠিক ভাবে করা হয়নি। এছাড়া নাম মাত্র বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যেকারণে সমস্যা সমাধান হচ্ছে না।

স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য পঙ্কজ দাস বলেন, একমাত্র এই রাস্তাই আমাদের চলাচলের, কিন্তু এখন পায়ে হেটে ও যাতায়াত করার উপায় নেই। দিনদিন ভাঙ্গন বাড়ছে। পার্শ্বে থাকা বাড়ি ঘর গুলো রক্ষা না করলে বাসিন্দারা যাবেন কোথায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ দ্বারা হবে না তাই উপজেলা ও সংসদ সদস্য কিংবা মন্ত্রণালয়ের প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

নদী ভাঙ্গনের চিত্র ও ভয়াবহতা নিয়ে কথা হয় স্থানীয় দ্বীপবন্ধ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মাহমুদ আলী, মিজানুর রহমান ও ছমরু মিয়ার সাথে। তারা বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন ও বিপদগ্রস্ত। কেউ এই ভাঙ্গন নিয়ে খোঁজ খবর নেন না। আমরা কার কাছে যাব? এতোদিন গাড়ীর বদলে কুলেকাকে করে জরুরি রোগী নিয়ে যাওয়া যেত, এখন সেটিও করা যাচ্ছে না। তারা চলাচলের স্বার্থে ভাঙ্গন রোধ ও বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করে দ্রুত বিষয়টির সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আবু সাঈদ জানিয়েছেন তিনি সরজমিনে বিষয়টি দেখে উপযুক্ত হলে উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবেন। উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কোন প্রকল্প এলে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।