মৃ-ত ব্যক্তি ইট-পাটকেল ছুড়লো পুলিশের ওপর!


admin প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৯, ২০২৩, ১২:৫১ অপরাহ্ন /
মৃ-ত ব্যক্তি ইট-পাটকেল ছুড়লো পুলিশের ওপর!

সালমান হোসেন,জুড়ী প্রতিনিধিঃ

মৃত্যুর ছয় বছর পরও পুলিশের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে জুড়ী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের লোকমানকে। পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। এমনকি যারা অনেকদিন ধরে প্রবাসে অবস্থান করছেন আসামির তালিকায় তাদের নামও এসেছে। এতে পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জানা যায়, উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের লোকমান হোসেন ২০১৭ সালের ৪ আগস্ট মারা যান।

গত ৬ অক্টোবর জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে জুড়ী থানায় মামলাটি করেন এসআই খসরুল আলম বাদল। মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। লোকমান ১১ নম্বর আসামি। আসামির তালিকায় বিএনপির নেতাকর্মীও রয়েছেন।  

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘জামায়াত-শিবির ও বিএনপি কর্মীরা জনসাধারণের যান চলাচল বন্ধ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পুলিশের বাধা অমান্য করে তারা মিছিল শুরু করেন। পরে নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে সরকারি কাজে বাধা দেন।’

আসামি লোকমান উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামের হাজি রমুজ আলীর ছেলে। তার ভাতিজা কামরুজ্জামান বলেন, পুলিশের করা নাশকতা মামলায় মৃত চাচাকে আসামি করা হয়েছে। তার প্রশ্ন, পুলিশ কি চাচাকে কবর থেকে তুলে এনে বিচার করবে নাকি। 

মামলায় ১৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে উপজেলা যুবদলের সদস্য হাবিবুর রহমানকে। তিনি জানান, তিনি এক সময় যুবদলের রাজনীতি করতেন, তবে কখনও জামায়াত করেননি। এর পরও তাঁর নাম মামলায় জড়ানো হয়েছে। পশ্চিম ভবানীপুর গ্রামের ফরমুজ আলী ২ নম্বর আসামি। তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন বলে জানা গেছে। তার বড় ভাইয়ের অভিযোগ, এলাকার কিছু লোকের মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। 

ফুলতলার বুরহান মিয়া ২৩ নম্বর আসামি। তিনি দুই বছর ধরে আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন। একই ইউনিয়নের নাইম আহমেদ ফ্রান্সে থাকেন। তাঁকে ২৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ৬ নম্বর আসামি হামিদপুর গ্রামের জায়েদ আহমদ পাঁচ বছর ধরে সৌদি আরবে থাকেন। ৫ নম্বর আসামি ইদ্রিস আলীর বয়স ৮০ বছরের বেশি।  

উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুর রহমান বলেন, আমরা বাজারে মিছিল করেছি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ দূরের কথা সেখানে কোনো পুলিশই ছিল না। মিথ্যা মামলায় হয়রানি করতে পুলিশ এই কাজ করেছে।  

মামলার বাদী এসআই খসরুল আলম বাদল এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের তথ্য অনুযায়ী আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে যদি মৃত অথবা প্রবাসী থাকে, তাহলে তদন্ত করে সংশোধন করা হবে।