বিশ্বনাথে রবিশস্য আবাদে ব্যাস্ত কৃষক : আলু বীজের তীব্র সংকট


admin প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ৯:৪৩ অপরাহ্ন /
বিশ্বনাথে রবিশস্য আবাদে ব্যাস্ত কৃষক : আলু বীজের তীব্র সংকট

মো. সায়েস্তা মিয়া, বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ

শীত মৌসুম শুরুর সাথে সাথে শীতকালীন সবজী আবাদে ঝাপিয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। একদিকে সোনালী আমন কাটা চলছে, অন্যদিকে চলছে আগাম ও দীর্ঘমেয়াদি সবজি আবাদ। আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে এবার উপজেলা জুড়ে। ধানের উৎপাদন মাত্রা ব্যাপক হওয়ায় কৃষকের মুখে সোনালী হাসি। ধান সংগ্রহের পাশাপাশি ইতিমধ্যে আগাম সবজি বাজারজাত করছেন অনেকেই। আগাম সবজি বাজারের উঠায় দাম নামছে হাতের নাগালে। আগাম শাকসবজির মধ্যে রয়েছে লালশাক, সরিষা শাক, লাইশাক, সীম, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, মুলা সহ বিভিন্ন জাতের স্থানীয় সবজি। সব মিলিয়ে কৃষকদের ব্যস্ততার সীমা নেই। তবে আলু বীজের তীব্র সংকটে পড়েছেন কৃষকেরা। শহরের বীজঘর গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না আলু বীজ। অধিক দাম দিয়েও আলু বীজ না পাওয়ায় হতাশ কৃষক। আলু বীজের সংকট থাকায় সার মিশ্রিত চাষা জমিতে এখন অন্য ফসল রোপনের চিন্তা করছেন তারা। আলু বীজের পাশাপাশি সার সংকটের কথাও জানা গেছে। তুলনামূলক বেশি সার ফেলা জমিতে অন্য ফসল আবাদ করলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে কৃষক এমনটাই কৃষকের ভাষ্য। তবে বীজের সংকট কেন এমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি কৃষি অফিস থেকে।

বিশ্বনাথ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সবজি চাষাবাদ হয় খাজাঞ্চি ইউনিয়নে। আলুবীজ সংকটে থাকা ইউনিয়নের একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে বীজ সংকটের তথ্যটি জানা গেছে। বীজ না পাওয়ায় তারা এখন হতাশ। উচ্চ, মাঝারি বা সাধারণ আলু বীজও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তারা। খাজাঞ্চি ইউনিয়নের পাকিছিরি গ্রামের সামসাদ আলী, নুর আহমদ, ওয়াছির আলী, বিলাল আহমদ ও অন্যান্য কৃষকের কয়েক বিঘা সার মিশ্রিত চাষকৃত জমি এখন খালি পড়ে আছে বীজ না পাওয়ায়। আলু রোপনের জন্য তৈরি করা জমিতে এখন অন্য ফসল ফলানোর চিন্তা করছেন তারা। কৃষক সামসাদ আলী, নুর আহমদ ও বিলাল আহমদ জানান, একাধিক বার শহরে গিয়ে সামান্য আলু বীজ পেয়েছি যাতে অর্ধেক জমি আবাদ করতে পারব, বাকি জমি খালি থাকবে না হয় অন্য ফসল রোপণ করব।

আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের চেয়ে বেশি আবাদ হচ্ছে এমন তথ্য জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস। আলুর পাশাপাশি, টমেটো, কপি, বেগুন, মরিচ, ক্যাপসিকাম, সরিষা ও অন্যান্য সবজি আবাদের মাত্রা এবছর বাড়ছে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল উৎপাদনের আশা করছে কৃষি অফিস।

বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় জানান, কৃষকদের চাষাবাদে আগ্রহী, উচ্চ ফলনশীল জাতের সবজি আবাদে প্রশিক্ষণ ও সরকারি প্রণোদনা এবং কৃষি পরামর্শ অব্যাহত রয়েছে।