সিলেটের বিশ্বনাথে দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের দশঘর গ্রামের উত্তরের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে চিরায়ত বাংলার ঘোড়ার দৌঁড় প্রতিযোগীতা।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ওই ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার দৌঁড় প্রতিযোগীতায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১১২টি ঘোড়ার সৌখিন মালিক অংশগ্রহন করেন। নানান কারণে ওই ১৫ বছর ঘোড়ার দৌঁড় প্রতিযোগীতার আয়োজন করা বন্ধ ছিল।
চিরায়ত বাংলার ওই ঘোড়ার দৌঁড় প্রতিযোগীতা দেখতে দশঘর গ্রামের উত্তরের মাঠে বিভিন্ন বয়সের মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনার সাথে সৌখিন ঘোড়ার মালিকগণ প্রতিযোগীতা অংশ নিয়ে এলাকাবাসীকে ব্যাপক আনন্দ দিয়েছেন।
আর দীর্ঘদিন পর এলাকায় ঘোড়ার দৌঁড় প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হওয়াতে মানুষের মাঝে আনন্দের পাশাপাশি উৎসাহ-উদ্দিপনার কমতি ছিল না।
ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার দৌঁড় প্রতিযোগীতার আয়োজক কমিটির সদস্য জুবেল মিয়া বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার দৌঁড় প্রতিযোগীতা আয়োজন বন্ধ ছিল। ওই ১৫ বছর ঘোড়ার দৌঁড় প্রতিযোতা আয়োজন বন্ধ থাকায় চিরায়ত বাংলার ওই উৎসবের আনন্দ থেকে মানুষ বঞ্চিত ছিলেন।
কিন্তু আজ (রোববার) ঘোড়ার দৌঁড় প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হওয়ার ফলে পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া উৎসবের আনন্দ বিলীন হওয়ার পরিবর্তে আবার আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। জনমনে ফিরে আসা আনন্দ ধরে রাখতে এখন প্রয়োজন সর্বমহলের সার্বিক সহযোগীতা।
সুনামগঞ্জের পাগলা থেকে আসা সৌখিন ঘোড়ার মালিক আনোয়ার আলী বলেন, ঘোড়ার দৌঁড় প্রতিযোগীতা গ্রামবাংলার একটি আনন্দের উৎসব। আমার ঘোড়াটি প্রচন্ড দৌঁড়াতে পারে বলেই আমি আশাবাদি ঐতিহ্যবাহী ওই উৎসবে আমার ঘোড়াটি প্রতিযোগীতায় চ্যাম্পিয়ন হবে।
ঘোড়া দৌঁড় প্রতিযোগীতা দেখতে আসা দর্শক রুহেল উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, ছালিক মিয়া, সেলন মিয়া জানান, পূর্ব পূরুষদের রেখে যাওয়া উৎসব দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হওয়াতে খুবই ভালো লাগছে। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনার সাথে অত্যান্ত উৎসবমুখর পরিবেশে চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী উৎসবটি উপভোগ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষরা।
গ্রামবাংলার অতি পুরাতন এই উৎসবটিকে আমাদের মধ্যে ঠিকিয়ে রাখতে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ঘোড়া দৌঁড় প্রতিযোগীতা দেখতে আসা দর্শক রুহেল উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, ছালিক মিয়া, সেলন মিয়া জানান, পূর্ব পূরুষদের রেখে যাওয়া উৎসব দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হওয়াতে খুবই ভালো লাগছে। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনার সাথে অত্যান্ত উৎসবমুখর পরিবেশে চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী উৎসবটি উপভোগ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষরা। গ্রামবাংলার অতি পুরাতন এই উৎসবটিকে আমাদের মধ্যে ঠিকিয়ে রাখতে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :