বিশ্বনাথের মাহতাবপুর মৎস আড়ৎ ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সভা


admin প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪, ৬:০৭ অপরাহ্ন /
বিশ্বনাথের মাহতাবপুর মৎস আড়ৎ ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সভা

বিশ্বনাথ উপজেলার ১ নং লামাকাজি ইউনিয়নের মাহতাবপুর মৎস আড়ৎ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির অফিস কক্ষে হেলাল উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দীর্ঘদিন ধরে মৎস আড়ৎতের দখল, ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য অন্তর্ভুক্তি না করা ও বাজারের অবকাঠামো গত উন্নয়ন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধ চলাকালীন গত ২২ আগস্টে উভয় পক্ষে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে হেলাল উদ্দিন পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। সৃষ্ট ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করে। একপর্যায়ে উপজেলা বিএনপি ও স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় ৫ লক্ষ টাকা জামানত রেখে উভয় পক্ষ শালিস বিচারে একমত হয়। কিন্তু হেলাল উদ্দিন গং পক্ষের অনুপস্থিতিতে বিচারকগণ গত ২১ সেপ্টেম্বর বিচারের রায় প্রদান করেন এমনটি দাবী করে হেলাল উদ্দিন পক্ষ রায় প্রদান কে একটি প্রহসন ও প্রভাব বিস্তার উল্লেখ করে গত ২৮ তারিখ সাংবাদিক সভা করে পুনরায় ন্যায় বিচার চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রহসনের বিচারে উপস্থিত স্থানীয় ও উপজেলা, জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে রাখা জামানতের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগে হেলাল উদ্দিন আরো উল্লেখ করেন স্টাম্পে লিখিত রায়ে ভুলবাল লিখে তার পক্ষের লোকের লিজকৃত তিনটি দোকান বর্তমান বাজার পরিচালনার এডহক কমিটির মাধ্যমে বিরোধী পক্ষের লোকের কাছে দখলসহ বিক্রি করে দিয়েছেন বলে হেলাল উদ্দিন অভিযোগ করেন। এছাড়া ২২ আগস্ট বশির উদ্দিন পক্ষের লোকেরা তাদের বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাট করে ব্যাপক ক্ষতি করার পরও তাদের পক্ষে রায় না দিয়ে বিবাদী পক্ষে রায় দিয়েছেন। এতে তাদের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। মহামান্য হাইকোর্টের সুনির্দিষ্ট আদেশ অমান্য করে তাদের কে মৎস সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত না করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ করে হেলাল উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

উক্ত বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বশির উদ্দিন পক্ষে ও বাজার পরিচালনা এডহক কমিটির উদ্যোগে প্রতিবাদ সভায় হেলাল উদ্দিন গংদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তাদের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান বক্তারা।

মাহতাবপুর মৎস্য আড়ৎ অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফখর উদ্দিন তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন হেলাল উদ্দিন গং লোকজন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে হামলা মামলায় অভিযুক্ত করছে আমাদের। তারা এই বাজারের ব্যাবসায়ী সমিতির কেউ নয়। আমরা আইনি ভাবে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে বাজারের এডহক কমিটি গঠন করে বাজার পরিচালনা করে আসছি। দীর্ঘদিন ধরে হেলাল উদ্দিন গং পক্ষের লোকেরা বাজারে নানান সময় হামলা ও লুটপাট চালিয়ে পরিবেশ অশান্ত করে যাচ্ছে। এরা বিচার ও আইন আদালত কিছুই মানতে চায় না। সর্বশেষ উপজেলা, জেলা ও স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে বিরোধীয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শালিস বিচারের ব্যবস্থা করা হয়, কিন্তু তারা বিচারে উপস্থিত হয় নাই। এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে শালিসানগণ রায় প্রদানের পর তারা এখন শালিসানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে তাদের এমন বানোয়াট কার্যক্রম বন্ধের আহবান জানাচ্ছি। এবং এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন,ব্যবসায়ী বশির উদ্দিন ও ব্যবসায়ী সিরাজ উদ্দিন।

উপস্থিত ছিলেন, লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী শফিকুর রহমান, মাহতাবপুর মৎস্য আড়ৎ অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আব্দুল হেকিম,শামসুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আতিক মিয়া,জয়নাল আবেদিন,নওসাদ মিয়া,মতিউর রহমান,আব্দুল মুমিন,রিয়াজুল হক,হাজী আক্রম আলী,আব্দুল গফফার,আব্দুল মুকিত,ইদ্রিস আলী ও প্রমুখ।